ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নেই, শুটিংয়ে স্বস্তি
০৬ জুন ২০২০, ২৩:৩৩
আপডেট: ০৭ জুন ২০২০, ঘনিষ্ঠ হওয়ার কোনো দৃশ্য নেই নাটকে, সেটাই এক বিরাট স্বস্তির ব্যাপার। তাই এই করোনাকালের শুটিংয়ে কোনো অসুবিধা হয়নি মৌসুমী হামিদের। প্রায় আড়াই মাস পর ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদেই কাটছে তাঁর শুটিংয়ের দিন।
করোনা মহামারির কারণে চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে রোম্যান্টিক দৃশ্য। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ক্যামেরার সামনে সংলাপ বলে যাচ্ছেন অভিনয়শিল্পীরা। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে মৌসুমী জানান, ‘সময়ের গল্প’ নাটকে পাশাপাশি দাঁড়ানোর মতো কোনো দৃশ্য বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৃশ্য নেই। নাটকটি দেখানো হয় আরটিভিতে। তার ধারাবাহিকতার পর্বগুলোর জন্য উত্তরার আপনঘর শুটিংবাড়িতে পুনরায় শুরু হয়েছে দৃশ্য ধারণ।
শুটিং স্পট থেকে মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘নাটকটা অত বেশি প্রেম-পিরীতির না। আমাদের গল্পের বেশির ভাগ অংশজুড়েই থাকে ক্রাইম। যে কারণে খুব কাছাকাছি বসে থাকার দৃশ্য নেই। নির্দিষ্ট একটা দূরত্ব মেনটেইন করেই শুটিং করছি।’ সচেতনতার ফিরিস্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেট বানিয়েছেন তপু খান। তিনি ইউনিটের সবাইকে পিপিই দিয়েছেন। সবাইকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। শুটিং শুরু করার আগে পুরা হাউস ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধোয়া হয়েছে। শুটিংয়ের আগেই গাড়িসহ আমাদের সব শিল্পীকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। করোনা নেই নিশ্চিত হয়েই সবাইকে শুটিং সেটে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’
আপডেট: ০৭ জুন ২০২০, ঘনিষ্ঠ হওয়ার কোনো দৃশ্য নেই নাটকে, সেটাই এক বিরাট স্বস্তির ব্যাপার। তাই এই করোনাকালের শুটিংয়ে কোনো অসুবিধা হয়নি মৌসুমী হামিদের। প্রায় আড়াই মাস পর ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদেই কাটছে তাঁর শুটিংয়ের দিন।
করোনা মহামারির কারণে চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে রোম্যান্টিক দৃশ্য। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ক্যামেরার সামনে সংলাপ বলে যাচ্ছেন অভিনয়শিল্পীরা। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে মৌসুমী জানান, ‘সময়ের গল্প’ নাটকে পাশাপাশি দাঁড়ানোর মতো কোনো দৃশ্য বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৃশ্য নেই। নাটকটি দেখানো হয় আরটিভিতে। তার ধারাবাহিকতার পর্বগুলোর জন্য উত্তরার আপনঘর শুটিংবাড়িতে পুনরায় শুরু হয়েছে দৃশ্য ধারণ।
শুটিং স্পট থেকে মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘নাটকটা অত বেশি প্রেম-পিরীতির না। আমাদের গল্পের বেশির ভাগ অংশজুড়েই থাকে ক্রাইম। যে কারণে খুব কাছাকাছি বসে থাকার দৃশ্য নেই। নির্দিষ্ট একটা দূরত্ব মেনটেইন করেই শুটিং করছি।’ সচেতনতার ফিরিস্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেট বানিয়েছেন তপু খান। তিনি ইউনিটের সবাইকে পিপিই দিয়েছেন। সবাইকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। শুটিং শুরু করার আগে পুরা হাউস ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধোয়া হয়েছে। শুটিংয়ের আগেই গাড়িসহ আমাদের সব শিল্পীকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। করোনা নেই নিশ্চিত হয়েই সবাইকে শুটিং সেটে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’
পুবাইলের আরেকটি শুটিং সেট থেকে অভিনেতা মাজনুন মিজান বলেন, ‘তিন মাস ঘরে থাকার পর কাজ শুরু করেছি। এই অবস্থায় একটু ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে সব সময় নিরাপদ রেখেই শুটিং করছি। আমাদের নাটকের গল্পে ক্লোজার বা ইন্টিমেট কোনো দৃশ্য নেই। করোনার সময়টা মাথায় নিয়ে সেভাবেই গল্প লিখেছেন চিত্রনাট্যকার।’
তবে নিজেদের শুটিংয়ের কোনো তথ্য যথাযথভাবে ভাগাভাগি করতে রাজি হচ্ছিলেন না কেউই। আন্তসংগঠনের নির্দেশনা অনুসারে পয়লা জুন থেকে শুটিংয়ে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। তবু শুটিং স্পটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চান না কেন? জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিনেতা বলেন, ‘বাইরে থেকে চকচকে মনে হয়, কিন্তু অনেক তারকা, নির্মাতা, প্রযোজক আছেন, জীবন ধারণ করতে হলে কাজে তাদের নামতেই হবে। যার বাড়ি, গাড়ি আছে, সে সারা বছর শুটিং না করলেও কোনো ক্রাইসিসে পড়বে না। কিন্তু অনেকেরই বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হচ্ছে, আবার সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে নামও প্রকাশ করতে চায় না। তখন সচেতনতার প্রশ্নে সবাই তাঁকে দোষারোপ করবে। বেঁচে থাকার জন্য কোনটা আগে?’
তবে নিজেদের শুটিংয়ের কোনো তথ্য যথাযথভাবে ভাগাভাগি করতে রাজি হচ্ছিলেন না কেউই। আন্তসংগঠনের নির্দেশনা অনুসারে পয়লা জুন থেকে শুটিংয়ে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। তবু শুটিং স্পটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চান না কেন? জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিনেতা বলেন, ‘বাইরে থেকে চকচকে মনে হয়, কিন্তু অনেক তারকা, নির্মাতা, প্রযোজক আছেন, জীবন ধারণ করতে হলে কাজে তাদের নামতেই হবে। যার বাড়ি, গাড়ি আছে, সে সারা বছর শুটিং না করলেও কোনো ক্রাইসিসে পড়বে না। কিন্তু অনেকেরই বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হচ্ছে, আবার সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে নামও প্রকাশ করতে চায় না। তখন সচেতনতার প্রশ্নে সবাই তাঁকে দোষারোপ করবে। বেঁচে থাকার জন্য কোনটা আগে?’
এই মুহূর্তে সবাই ঘরে শুটিং করলেও, অভিনেতা রাশেদ মামুন অপুকে দেখা যায় বাইরে, ক্যামেরার সামনে। এই অভিনেতা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তা নিয়ে “তোলপাড়” নামের একটি ধারাবাহিকের শুটিং করছি। অল্প কিছু কাজে হাউসের নিচে গেলেও সবাই সতর্ক ছিলাম। আমাদের সবার জন্য হাউসের ডাইনিং টেবিলে লেবু, আদা, গরম পানি ও চায়ের ব্যবস্থা ছিল।’
এ নাটকে আরও অভিনয় করেন ডা. এজাজ, মিলন ভট্ট, নুসরাত জাহান প্রমুখ। নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন নির্মাতা মুসাফির রনি।
এ নাটকে আরও অভিনয় করেন ডা. এজাজ, মিলন ভট্ট, নুসরাত জাহান প্রমুখ। নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন নির্মাতা মুসাফির রনি।
No comments:
Post a Comment