ওয়েব সিরিজের নামে এসব কী হচ্ছে!
০৮ জুন ২০২০, ১৪:১৩
আপডেট: ০৮ জুন ২০২০, ১৪:৩৪
আপডেট: ০৮ জুন ২০২০, ১৪:৩৪
টেলিভিশন নাটকে যেসব তারকাকে দেখা যেত শালীন পোশাক, নম্র অভিনয়ে, তাঁরা এখন ওয়েবে ঝুঁকেছেন। সেন্সরশিপ না থাকায় সেখানকার নিয়ম যেন হয়ে উঠেছে টিভির বিপরীত। যৌনতা ও সহিংস দৃশ্য সেখানে ডালভাতের মতোই সহজভাবে দেখানো যায়। ওয়েবে তাই খোলামেলা দৃশ্যে দেখা দিচ্ছেন টেলিভিশনের ‘শালীন’ কুশলীরাই।
অন্তর্জালের দুনিয়া সহজলভ্য। তাই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে তেমন সময় লাগেনি তার বিনোদন প্ল্যাটফর্মগুলোর। বাংলা ভাষায় এখন নির্মিত হচ্ছে ওয়েব ধারাবাহিক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি। সেন্সরবিষয়ক কোনো নিয়মনীতি না থাকায় এসবের চরিত্রগুলোর মুখের ভাষা, অঙ্গভঙ্গি টেলিভিশনের মতো স্বাভাবিক নয়। এমনকি গল্পে থাকছে অশ্লীল সংলাপ, দৃশ্য এবং সহিংসতা। দর্শক টানতে আর ধরে রাখতে বিদেশি অনুষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এসব নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতাই করতে হচ্ছে বাংলাদেশের কনটেন্ট নির্মাতাদের। নির্মাতা ও তারকারা বলছেন, গল্পের প্রয়োজনে ছাড় দেন না তাঁরা। তাই খোলামেলা উপস্থিতি এক স্বাভাবিক ঘটনা।
আদনান ফারুক হিল্লোল ও নাজিয়া হক অর্ষা অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘বুমেরাং’ মুক্তি পেয়েছে ঈদে। সিরিজের শুরুটাই চমকে দেবে দর্শককে। পর্দায় বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীদের এত নিবিড় বিছানার দৃশ্য এর আগে কখনো দেখানো হয়েছে কি না, তা নিয়েও ভাবাবে। সিরিজটির নির্মাতা ওয়াহিদ তারেক জানান, ‘আমরা গল্পের বাইরে কিছুই দেখাইনি। আমাদের তিনটি স্টোরির বেসিক জিনিস হচ্ছে কারমা। এখন কারমার ব্যাপারে আমরা ভায়োলেন্স বলেন, সেক্স বলেন, খুব বেশি কাটছাঁট করিনি। আদিরস নিয়ে যখন কাজ করছি, সেভাবেই তাকে গল্পে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। যে যেভাবে দেখবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি গল্পের বাইরে গিয়ে কোনো অশ্লীলতা কখনো দেখাতে চাই না।’
No comments:
Post a Comment